কক্সবাজারে বিএনপির জনসমাবেশে বরকত উল্লাহ ভুলু ও আবদুল আউয়াল মিন্টু
প্রেস বিজ্ঞপ্তি : ‘২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই নিঃশর্ত ভাবে মুক্ত হবেন বেগম খালেদা জিয়া। আর ২০২০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী হবেন দেশনেত্রী ও দেশের স্বার্থের প্রশ্নে আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।’
এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ ভুলু ও আবদুল আউয়াল মিন্টু।
আজ রোববার (১৩ অক্টোবর) বিকালে কক্সবাজার জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এক জনসমাবেশে এমন মন্তব্য করেন। তাঁরা বলেন, ‘ফেনী হলো বেগম খালেদা জিয়ার জন্মভূমি। তিনি যদি আজ মুক্ত থাকতেন ফেনীর নদীর পানি ভারতকে দেয়ার মতো এমন বুকের পাটা কারো ছিল না।
তাদের মতে, বাংলাদেশের স্বার্থ ভারতের কাছের বিকিয়ে দেয়ার জন্যই বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তিনি কারাগারের বাইরে থাকলে শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষে ভারতের সাথে একের পর এক বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তি করতে পারতো না।
বিএনপির কেন্দ্রীয় এই দুই নেতা মনে করেন, যুবলীগ-ছাত্রলীগের সন্ত্রাসিরা হাজার হাজার কোটি টাকা লুপাট করলেও তাদের কোন সাজা হয় না। অথচ দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, দেশের সবচাইতে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মাত্র দুই কোটি টাকার একটি মিথ্যা মামলায় নির্জন কারাগারে বন্দি করে রেখেছে শেখ হাসিনা সরকার। যদিও দুই কোটি টাকা লুপাটও হয়নি এবং সেই টাকার সাথে বেগম খালেদা জিয়ার কোন সংশ্লিষ্টতাও নেই।
দেশবিরোধী চুক্তি বাতিল, শহীদ আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদ এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিএনপি দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে কক্সবাজার জেলা বিএনপি এই জনসমাবেশের আয়োজন করেছিল।
কক্সবাজার শহর ও আশপাশের উপজেলা থেকে শত শত বিএনপি নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ এই জনসমাবেশে যোগ দেন। সমাবেশের শুরুতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের খন্ড খন্ড মিছিল এসে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে জড়ো হয়। ওই মিছিল থেকে ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’, ‘দেশবিরোধী চুক্তি বাতিল করো, করতে হবে’, ‘শহীদ আবরারের খুনিদের ফাঁসি চাই’ শ্লোগান দিয়ে সমাবেশস্থল মুখরিত করে তোলা হয়।
কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত এই সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ ভুলু। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও দেশের স্বনামধন্য শিল্পপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক ও কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল, ২০ দলীয় জোট নেতা ও এনডিপি চেয়ারম্যান ক্বারী মোহাম্মদ আবু তাহের।
জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক আকতার চৌধুরী ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এম. মোকতার আহমদের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্টিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী, সহ-সভাপতি ও পৌর বিএনপির সভাপতি রফিকুল হুদা চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক আখতারুল আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা শ্রমিক দল সভাপতি রফিকুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মো. আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি অধ্যাপক আজিজুর রহমান, উখিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরওয়ার জাহান চৌধুরী, টেকনাফ উপজেলা বিএনপি সভাপতি এডভোকেট হাছান সিদ্দিকী, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন জিকু, রামু উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন চৌধুরী মাহিন, জেলা যুবদল সভাপতি এড. সৈয়দ আহমদ উজ্জল, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন, জেলা ছাত্রদল সভাপতি শাহাদত হোসেন রিপন, যুগ্ম সম্পাদক মিজানুল আলম, পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি এস্তাক আহমদ, শহর ছাত্রদল সভাপতি এনামুল হক, কক্সবাজার আইন কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক আবু তাহের মিছবাহ, কক্সাবাজার সিটি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আল আসিফ প্রমূখ।
সমাবেশের শুরুতে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন কক্সবাজার সিটি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ইমন সিকদার।
পাঠকের মতামত: